যেন ৫৬ বছরের তরুণ আমির খান
সমসাময়িক বলিউড অভিনেতাদের তুলনায় আমির খানের শারীরিক উচ্চতা কম। যদিও তাতে থেমে যায়নি কিছু। অভিনয়ের মুন্সিয়ানা দিয়ে নিজেকে নিয়ে গেছেন অন্য উচ্চতায়। পৌঁছেছেন খ্যাতির চূড়ায়। রোমান্টিক, অ্যাকশন কিংবা বিষয়ভিত্তিক—সব ধরনের চলচ্চিত্রে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছেন এই কিংবদন্তি অভিনেতা। আজ তার ৫৬তম জন্মদিন।
আমির খানের আসল নাম মোহাম্মদ আমির হোসেন খান। তিনি ১৯৬৫ সালের ১৪ মার্চ মুম্বাইয়ের মহারাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা তাহির হোসেন ছিলেন চলচ্চিত্র প্রযোজক। চাচা নাসির হুসেন ছিলেন প্রযোজক ও পরিচালক। তার আত্মীয়দের মধ্যেও অনেকে বলিউডের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তবে সবাইকে ছাড়িয়ে তিনিই হয়ে উঠেছেন বলিউডের ‘আমির’।
আমির খানের শুরুটা শিশুশিল্পী হিসেবে। মাত্র আট বছর বয়সে নাসির হোসেন পরিচালিত ‘ইয়াদো কি বারাত’ সিনেমায় একটি তুমুল জনপ্রিয় গানে প্রথমবার বড় পর্দায় দেখা যায় তাকে। এরপর বাবা ও চাচার হাত ধরে বিভিন্ন সিনেমায় অংশ নেন তিনি।
আমির খান অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘হোলি’ ব্যবসায়িক সাফল্য পায়নি। এর চার বছর পর তাকে বড় পর্দায় আনেন চাচাতো ভাই মনসুর। মনসুর পরিচালিত প্রথম সিনেমা ছিল ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তক’। জুহি চাওলার বিপরীতে আমির খানের এই সিনেমাটি দারুণ সাফল্য পায়। এর মধ্য দিয়েই তারকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন আমির খান ও জুহি চাওলা দুজনেই।
১৯৯০ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত দুর্দান্ত সফল ক্যারিয়ার ছিল আমির খানের। এ সময়ে তার উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে ‘দিল’, ‘দিল হ্যায় কি মন্ত নেহিঁ’, ‘রঙ্গীলা’, ‘আন্দাজ আপনা আপনা’, ‘রাজা হিন্দুস্তানি’, ‘লগান’, ‘দিল চাহতা হ্যায়’ ইত্যাদি।
আমির খানে পরবর্তী সিনেমা ‘লাল সিং চাড্ডা’। এটি হলিউডের বিখ্যাত ‘ফরেস্ট গাম্প’ সিনেমার অফিসিয়াল রিমেক। গত বছর মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও করোনার জন্য সিনেমাটি আটকে যায়।
এদিকে জন্মদিনে নেট দুনিয়ায় শুভেচ্ছায় ভাসছেন আমির খান। ভক্তরা থেকে শুরু করে বলিউড তারকারা—সবাই তার জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। যদিও ভক্তরা আশায় ছিলেন, জন্মদিনে নতুন কোনো সিনেমার ঘোষণা দেবেন মি.পারফেকশনিস্ট। কিন্তু এবার সেটা হচ্ছে না।