নিরপেক্ষতায় এগিয়ে আমরা...

বুধবার, এপ্রিল ২৩, ২০২৫

বৃথা কথা বলা থেকে দূরে থাকি

আল্লাহপাক সুন্দরকে পছন্দ করেন। সুন্দরভাবে কথা বলা এবং মানুষের সঙ্গে উত্তম আচরণকারীকে তিনি ভালোবাসেন। সামান্য কারণে আমরা একে অপরের সঙ্গে মন্দ ভাষায় কথা বলি, যা মোটেও ঠিক নয়। এছাড়া কারণে-অকারণে অনেকে যারা খুব বেশি কথা বলেন, তাদেরকেও আল্লাহ পছন্দ করেন না।

প্রবাদ আছে, ‘কম চিন্তাশীল ব্যক্তিরাই অধিক কথা বলেন’। ব্যক্তিত্বহীন মানুষের অভ্যাস হলো অকারণে বকে যাওয়া। বেশি বলাতে যেমন বোকামি প্রকাশ পায়, তেমনি শ্রোতারও বিরক্তির উদ্রেক হয়। তাই অযথা কথা না বলে কম কথা এমনভাবে বলা উচিত, যাতে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় পাওয়া যায়। বাজে কথা এবং বেশি কথা চিন্তাকে ঘোলাটে এবং ব্যক্তিত্বকে হালকা করে দেয়।

এডিসন বলেছেন, ‘একজন মানুষ তখনই চমত্কার ব্যক্তিত্বের অধিকারী হতে পারে, যখন সে অনর্থক কথা বলা এবং অপকর্ম থেকে বিরত থাকে।’ আসলে কেউ যখন অহেতুক কথা বলতে থাকে তখন এর মাঝে নানান মিথ্যা এবং মন্দ কথাও মুখ থেকে বের হয়ে যায়। বিশ্বনবি (স) সম্পর্কে জানা যায় যে, না তিনি কখনো অহেতুক কসম খেয়ে কিছু বলতেন আর না কখনো কোনো খারাপ কথা বলতেন। (বোখারি) মহানবি (স) বলেছেন :‘যে ব্যক্তি স্বীয় জিহ্বা ও গোপন অঙ্গকে গুনাহ থেকে বাঁচিয়ে রাখে আমি স্বয়ং তার বেহেশতের জামিন।’ (বোখারি)

মহানবি (স) আরো বলেছেন :‘রাত্রি ভোর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের সকল অঙ্গপ্রত্যঙ্গ জিহ্বাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে বলে ওঠে, সব সময় আল্লাহকে ভয় করে চলো, তাহলে আমরাও তোমার অনুবর্তিতা করব।’ কাজেই কম কথা এমনভাবে বলা উচিত, যাতে আন্তরিকতার পরশ থাকে। হজরত ইমাম তিরমিজি বর্ণনা করেন, মহানবি (স) বলেছেন :বান্দা যখন ভালোমন্দ বিচার না করেই কোনো কথা বলে, তখন তার কারণে সে নিজেকে জাহান্নামের এতদূর গভীরে নিয়ে যায়, যা পূর্ব ও পশ্চিমের সমান। (বোখারি ও মুসলিম)

বিশেষ করে রাগ উঠলে অনেকে নিজেকে সংযত রাখতে পারে না আর রাগের মাথায় যা ইচ্ছে তা বলে ফেলে। আমরা যদি লক্ষ্য করি তাহলে দেখতে পাই অধিকাংশ ঝগড়ার সূচনা জিহ্বার কারণেই হয়ে থাকে অর্থাৎ কথার সূত্রপাতকে ধরেই ঝগড়ার সূচনা হয়। মানুষ যখন রেগে যায় তখন যদি একপক্ষ চুপ থাকে তাহলে দ্রুত ঝগড়া শেষ হয়ে যায়।

মহানবি (স) আরো বলেছেন :‘রাত্রি ভোর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের সকল অঙ্গপ্রত্যঙ্গ জিহ্বাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে বলে ওঠে, সব সময় আল্লাহকে ভয় করে চলো, তাহলে আমরাও তোমার অনুবর্তিতা করব।’ কাজেই কম কথা এমনভাবে বলা উচিত, যাতে আন্তরিকতার পরশ থাকে। হজরত ইমাম তিরমিজি বর্ণনা করেন, মহানবি (স) বলেছেন :বান্দা যখন ভালোমন্দ বিচার না করেই কোনো কথা বলে, তখন তার কারণে সে নিজেকে জাহান্নামের এতদূর গভীরে নিয়ে যায়, যা পূর্ব ও পশ্চিমের সমান। (বোখারি ও মুসলিম)

বিশেষ করে রাগ উঠলে অনেকে নিজেকে সংযত রাখতে পারে না আর রাগের মাথায় যা ইচ্ছে তা বলে ফেলে। আমরা যদি লক্ষ্য করি তাহলে দেখতে পাই অধিকাংশ ঝগড়ার সূচনা জিহ্বার কারণেই হয়ে থাকে অর্থাৎ কথার সূত্রপাতকে ধরেই ঝগড়ার সূচনা হয়। মানুষ যখন রেগে যায় তখন যদি একপক্ষ চুপ থাকে তাহলে দ্রুত ঝগড়া শেষ হয়ে যায়।


লেখক: ইসলামি গবেষক

tags

মন্তব্য

মন্তব্য করতে লগইন করুন অথবা নিবন্ধন করুন

সব খবর