ঢাকার কাছে সুন্দর এক কাশবন
ঢাকার
কাছেই সারিঘাট এলাকায় দিগন্তজুড়ে ফুটেছে শুভ্র কাশফুল। আর শরতের এই
সৌন্দর্য উপভোগ করতে সেখানে ভিড় করছেন করোনাভাইরাস মহামারীতে ঘরবন্দি থাকা
মানুষেরা। ঢাকার
দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের কোন্ডা ইউনিয়নের বসুন্ধরা রিভারভিউ প্রকল্পের ভেতরে
আইন্তা এলাকা। ছোট একটি সর্পিল খালের পাশের এ জায়গাটিকে স্থানীয়রা নাম
দিয়েছেন সারিঘাট।
সারিঘাটের এই কাশবনের দূরত্ব ঢাকা থেকে প্রায় সতের কিলোমিটার।সারিঘাটের চারপাশে বিশাল খোলা জায়গাগুলো এখন কাশবনের দখলে। মধ্য আশ্বিনে এই বন এখন ফুলে ফুলে ঢাকা। কাশবনকে ঘিরে সারিঘাট এখন রূপ নিয়েছে একটি ব্যস্ত পর্যটন কেন্দ্রে। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ জায়গাটিতে আসছেন কাশফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে।
শুধু কাশফুলের সৌন্দর্য উপভোগই নয়, সারিঘাটের ছোট্ট খালে নৌভ্রমণ করতেও আসছেন অনেকে। নৌকার পাশাপাশি কায়াকিং এর ব্যবস্থাও রয়েছে সারিঘাটের কাশবন লাগোয়া খালে। সারিঘাটে
সাধারণ দিনে নৌকার ভাড়া প্রতি ঘণ্টা ১৫০-২০০ টাকা এবং কায়াকিং প্রতি
ঘণ্টায় ৩০০-৩৫০ টাকা। তবে ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকের চাপ থাকায় ভাড়া বেড়ে
যায় অনেক। ছোট
ছোট এ নৌকায় লাইফ জ্যাকেট ছাড়াই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় ঘুরে বেড়াতে দেখা
যায় অনেককেই। স্থানীয়রা জানান সারিঘাটের এই খালটি খনন করায় গভীরতা অনেক
বেশি, জায়গাটিতে পানিতে ডুবে একাধিক মৃত্যুর ঘটনাও আগের বছরগুলোতে।
ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে দলে দলে মানুষ আসেন কাশফুলের এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে। শুক্র ও শনিবার সারিঘাটে পর্যটকের ভিড় থাকে অনেক বেশি। তবে করোনাভাইরাসের এই মহামারীর মধ্যে কাশবনে বেড়াতে আসা বেশিরভাগ মানুষকেই দেখা যায় না স্বাস্থ্যবিধি মানতে।
সারিঘাটের কাশবনে দেখা মেলে ক্ষুদে টিকটকারদেরও। সারিঘাটের কাশবনের ভেতরে আছে আকাবাঁকা মেঠোপথ, সেখানে রিকশায় চেপে ঘুরে বেড়ান অনেকেই। কাশবনের ভেতরে সময় কাটানোর জন্য ভাড়ায় পাওয়া যায় ছাতা সমেত নিচে চেয়ারও। কাশবনে বেড়াতে আসা পর্যটকদের জন্য নানা রকম মুখরোচক খাবার নিয়ে ঘুরে বেড়ান ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতারা।
।
দিনের প্রথম অংশে কাশবনে খুবই কম মানুষ আসেন বেড়াতে। তবে দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সারিঘাটের এই কাশবনে মানুষের অনেক ভিড় থাকে। কাশবনে বেড়াতে এসে অনেকেই দূষণ করে যাচ্ছেন জায়গাটির পরিবেশও। বেড়াতে এসে ফেলে যাচ্ছেন নানা রকম প্লাস্টিক বর্জ্য। নানা রকম মুনিয়া পাখি ছাড়াও আরো কিছু পাখির দেখা মেলে এ কাশবনে । কাশবনে সূর্যাস্ত বেশ উপভোগ্য, অনেকে তাই জায়গাটিতে থাকেন সন্ধ্যা অবধি।