টি-২০ ম্যাচ এত নিষ্প্রাণ!
চল্লিশেও ব্যাটিংয়ে নেমে বোলারদের কচুকাটা করছেন শহীদ আফ্রিদি। ক্যারিয়ারের সায়াহ্নেও তার ব্যাটের প্রতাপ দেখা গেল গত শুক্রবার হাম্বানটোটায়। লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে ২০ বলে হাফ সেঞ্চুরির পর ২৩ বলে ৫৮ রান (৩ চার, ৬ ছয়) করে আউট হয়েছেন আফ্রিদি। টি-২০ ক্রিকেটে ২২ গজে ব্যাটসম্যানদের এমন অগ্নিমূর্তিই দর্শকরা দেখতে চায়। চার-ছক্কার মিছিলে রানের জোয়ার বিনোদিত করে দর্শকদের।
ক্রিকেটের খুদে সংস্করণের চিরন্তন এই রুপটা যেন ভুলিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়ে বসেছে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম। মন্থর উইকেটে নিষ্প্রাণ ক্রিকেটের প্রদর্শনী চলছে বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপে। প্রথম দিনে দুটি ম্যাচই ছিল শেষ ওভারের রোমাঞ্চে ভরা। কিন্তু তারপর থেকেই টি-২০-র রানের ছন্দ উধাও!
সর্বশেষ পরপর দুটি ম্যাচে দলগত সংগ্রহ ১০০ ছাড়ায়নি। বৃহস্পতিবার রাতের ম্যাচে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের কাছে ৮৮ রানে অলআউট হয়েছিল বেক্সিমকো ঢাকা। গতকাল একই দলের বিরুদ্ধে জেমকন খুলনা ৮৬ রানে অলআউট হয়ে গেছে। মামুলি এই টার্গেট অনায়াসে পাড়ি দিয়ে ৯ উইকেটে জিতেছে চট্টগ্রাম। লিটন দাসের হাফ সেঞ্চুরিতে ১৩.৪ ওভারে ১ উইকেটে ৮৭ রান তুলে মিঠুনের দল। টানা দুটি জয় পেল চট্টগ্রাম। খুলনার এটি টানা দ্বিতীয় হার।
ঢাকা ব্যাট করেছিল ১৬.২ ওভার। গতকাল খুলনার ইনিংস স্থায়ী হয়েছে ১৭.৫ ওভার। টিভি পর্দায়, ইন্টারনেটে ম্যাচে নজর রাখা দর্শকরাও হতাশ এমন শ্রীহীন ব্যাটিংয়ে। মিরপুরের উইকেটের মন্থরতায় সৌন্দর্যহানি ঘটছে টি-২০ ক্রিকেটের।
এই মন্থরতাকে কাজে লাগিয়ে গতকাল যেমন ধারালো ‘কাটার’ নিয়ে হাজির হয়েছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। চট্টগ্রামের এই বাঁহাতি পেসার ৩.৫ ওভার বোলিং করে ৫ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ইনিংসের শুরু ও শেষে মুস্তাফিজের কাটার দেখা গেছে আগের রুপে। ম্যাচ সেরাও হয়েছেন তিনি। তাইজুল, নাহিদুল ২টি করে উইকেট পান।
তাদের দাপটের সামনেই নুয়ে পড়ে খুলনার ব্যাটিং লাইন। ইমরুল সর্বোচ্চ ২১, আরিফুল ১৫, জহরুল ১৪, শামীম ১১ রান করেন। টি-২০ তে ৫ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করা সাকিব ৩ রান করে আউট হন। মাহমুদউল্লাহ ১, বিজয় ৬ রানে ফিরেন। পরে লিটন দাসের ৪৬ বলে অপরাজিত ৫৩ রানে ম্যাচ জিতে যায় চট্টগ্রাম। মুমিনুল অপরাজিত ৫, সৌম্য ২৬ রান করেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
খুলনা: ১৭.৫ ওভারে ৮৬। চট্টগ্রাম: ১৩.৪ ওভারে ৮৭/১। ফল: চট্টগ্রাম ৯ উইকেটে জয়ী। ম্যাচ সেরা: মুস্তাফিজুর রহমান (চট্টগ্রাম)