চিরনিদ্রায় শায়িত লিলি চৌধুরী
বনানীতে ছেলে মিশুক মুনীরের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরীর স্ত্রী লিলি চৌধুরী।
মঙ্গলবার বেলা তিনটায় বনানী কবরস্থানে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়।
সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বনানীর বাসায় লিলি চৌধুরীর মৃত্যু হয়।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় বনানীর বাসায় রাখা হয় লিলি চৌধুরীর মরদেহ। বেলা দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য।
১৯২৮ সালের ৩১ আগস্ট টাঙ্গাইলের জাঙ্গালিয়া গ্রামে নানাবাড়িতে লিলি মির্জার জন্ম। বাবা নূর মোহাম্মদ মির্জার ছিল বদলির চাকরি। সেই সুবাদে তৃতীয় শ্রেণি থেকেই হোস্টেল জীবন শুরু হয় তাঁর। কলকাতায় বেগম রোকেয়া প্রতিষ্ঠিত সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুলে লিলিকে ভর্তি করে দেন তাঁর বাবা।
সপ্তম শ্রেণিতে পড়াকালে রবীন্দ্রনাথের নাটকে লিলি চৌধুরীর প্রথম অভিনয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সাখাওয়াত মেমোরিয়াল কিছুদিনের জন্য বন্ধ হয়ে গেলে দিল্লিতে বাবা মায়ের কাছে চলে যান তিনি। সেখানে গিয়ে ভর্তি হন ইন্দ্রপ্রস্থ গার্লস হাই স্কুলে।
দুই বছর পর আবার কলকাতায় ফিরে সাখাওয়াত মেমোরিয়াল থেকেই প্রবেশিকা শেষ করেন লিলি চৌধুরী। এরপর লেডি ব্রেবোর্ন কলেজে পড়ার সময় দুই বছর হোস্টেল জীবনেও কলেজের নাটকে নিয়মিত অভিনয় করতে থাকেন।
এর মধ্যেই দেশভাগের সেই অস্থির সময়ে কলকাতা জুড়ে দাঙ্গা শুরু হয়। ১৯৪৮ সালে নূর মোহাম্মদ মির্জা ঢাকায় চলে আসেন। সে সময় লিলি মির্জার পরিচয় হয় মুনীর চৌধুরীর সঙ্গে।
লিলি চৌধুরী তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। বাম রাজনীতিতে জড়িত মুনীর চৌধুরী ১৯৪৯ সালের মার্চে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যান। পাঁচ মাস পর মুনীর মুক্তি পেলে তাঁরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।