নিরপেক্ষতায় এগিয়ে আমরা...

বুধবার, এপ্রিল ২৩, ২০২৫

ইসি, পুলিশের ‘অভয়’, তবু শঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর ২৬ জানুয়ারী,২০২১

চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে ৭৩৫ কেন্দ্রে। এর মধ্যে ৪২৯ কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ, যা মোট কেন্দ্রের ৫৮ শতাংশ। মূলত আওয়ামী লীগ–সমর্থিত কাউন্সিলর ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে নির্বাচনী মাঠ।

চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে ৭৩৫ কেন্দ্রে। এর মধ্যে ৪২৯ কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ, যা মোট কেন্দ্রের ৫৮ শতাংশ। মূলত আওয়ামী লীগ–সমর্থিত কাউন্সিলর ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে নির্বাচনী মাঠ। প্রচারণার ফাঁকে এলাকায় ফিরেছে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরাও। ফলে ভোটের দিন কেন্দ্রের সুষ্ঠু পরিবেশ নিয়ে ভোটারদের পাশাপাশি শঙ্কায় আছেন বেশির ভাগ প্রার্থীও। নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও পুলিশের ‘অভয়ে’ও স্বস্তি ফিরছে না।


রাত পোহালেই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ভোট। কাল বুধবার সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত চলবে ভোট গ্রহণ। মেয়র ও কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ২৩২ জন প্রার্থী। এবার ভোটারসংখ্যা ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬।


নগরের ৪১ ওয়ার্ডের মধ্যে পূর্ব বাকলিয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগ–সমর্থিত প্রার্থী নির্বাচিত হন। আর এক প্রার্থী মারা যাওয়ায় বাতিল হয় আলকরণ ওয়ার্ডের ভোট। বাকি ৩৯ ওয়ার্ডের মধ্যে ১৫টি ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ।
ওয়ার্ডগুলো হলো দক্ষিণ পাহাড়তলী, জালালাবাদ, চান্দগাঁও, পশ্চিম ষোলো শহর, উত্তর পাহাড়তলী, দক্ষিণ কাট্টলী, সরাইপাড়া, পাহাড়তলী, লালখান বাজার, চকবাজার, পশ্চিম বাকলিয়া, পূর্ব বাকলিয়া, দক্ষিণ বাকলিয়া, পাঠানটুলী ও ফিরিঙ্গি বাজার ওয়ার্ড। এসব ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ–সমর্থিত কাউন্সিলর ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকেরা মুখোমুখি অবস্থানে আছেন।

কেন এগুলো ঝুঁকিপূর্ণ (গুরুত্বপূর্ণ) চিহ্নিত করা হয়েছে, এ প্রশ্নের জবাবে নগর পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর প্রথম আলোকে বলেন, অতীতের সংঘাতের ইতিহাস, বিদ্রোহী প্রার্থীদের দ্বন্দ্ব ও  সর্বশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় গুরুত্বপূর্ণ চিহ্নিত করা হয়েছে। কেন্দ্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা থাকবে। ভোটাররা নির্ভয়ে ভোট দিতে পারবেন।
নির্বাচনে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার হবে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, অস্ত্র উদ্ধারের জন্য দাবি জানিয়ে এলেও উদ্ধারের হার প্রায় শূন্য। আওয়ামী লীগ–সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মো. রেজাউল করিম চৌধুরীও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছেন।  
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা গত রোববার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বলেন, ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য হবে।’


tags

মন্তব্য

মন্তব্য করতে লগইন করুন অথবা নিবন্ধন করুন

সব খবর