আরও কমলো স্বর্ণের দাম
স্বর্ণের দাম আরও কমলো। সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের স্বর্ণের দাম কমেছে ভরিতে দুই হাজার ৪১ টাকা।
বুধবার (১০মার্চ) থেকে সবচেয়ে ভালো মানের (২২ ক্যারেট) স্বর্ণ বিক্রি হবে ৬৯ হাজার ১০৯ টাকায়। তবে রূপার দাম অপরিবর্তিত থাকবে।
মঙ্গলবার (২ মার্চ) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বর্ণের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি-বাজুস।
আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমায় স্থানীয় বাজারেও দর কমানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বাজুস।
এর আগে গত ২ মার্চ রাতে ১২ স্বর্ণের দাম ভরিতে এক হাজার ৫১৬ টাকা কমানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল; ৩ মার্চ থেকে যা কার্যকর হয়।
তার আগে ১২ জানুয়ারি স্বর্ণের দাম ভরিতে এক হাজার ৯৮৩ টাকা কমানো হয়।
নতুন করে দাম কমানোর কারণ ব্যাখ্যা করে বাজুস জানায়, করোনাকালীন বিশ্ব অর্থনীতির নানা জটিল সমীকরণে মধ্যে অস্থির আন্তর্জাতিক স্বর্ণ বাজারে স্বর্ণের দাম কিছুটা নিম্নমুখী হওয়ায় দেশীয় জুয়েলারি বাজারে অচলাবস্থা কাটাতে ও ভোক্তা সাধারণের কথা চিন্তা করে স্বর্ণের দাম ভরিপ্রতি ২ হাজার ৪১ টাকা কমানো হলো। তবে রূপার দাম অপরিবর্তিত থাকবে।
চলতি বছরে টানা তিন ধাপে প্রতিভরি স্বর্ণের দাম ৫ হাজার ৫৪০ টাকা কমলো হলো বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাজুসের ঘোষণা অনুযায়ী, বুধবার থেকে দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ৬৯ হাজার ১০৯ টাকায় বিক্রি হবে। ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ বিক্রি হবে ৬৫ হাজার ৯৬০ টাকায় এবং ১৮ ক্যারেটের বিক্রি হবে ৫৭ হাজার ২১২ টাকায়। আর সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণ বিক্রি হবে ৪৬ হাজার ৮৮৯ টাকায়।
মঙ্গলবার পর্যন্ত ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ৭১ হাজার ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ বিক্রি হয় ৬৮ হাজার ১ টাকায় এবং ১৮ ক্যারেটের বিক্রি হয় ৫৯ হাজার ২৫৩ টাকায়। আর সনাতন স্বর্ণ বিক্রি হয়েছে ৪৮ হাজার ৯৩০ টাকায়।
গত বছরের অগাস্ট মাসে দেশের বাজারে সোনার ভরি ৭৭ হাজার ২১৬ টাকায় উঠেছিল; যা ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এরপর থেকে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে স্থানীয় বাজারেও সোনার দাম উঠানামা করেছে।
মঙ্গলবার রাত ১১টায় আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স (৩১.১০৩৪৭৬৮ গ্রাম) স্পট গোল্ডের দাম ছিল এক হাজার ৭১৫ দশমিক ৩৫ ডলার।
গত ২ মার্চ রাতে যখন স্থানীয় বাজারে সোনার দাম কমানোর ঘোষণা দেওয়া হয় তখন আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স স্পট গোল্ডের দাম ছিল এক হাজার ৭৩৬ দশমিক ৯৯ ডলার।
দেশে স্বর্ণের দাম কমলেও রুপার দামে কোনো হেরফের হয়নি। আগের দামেই বিক্রি হবে রুপার গহনা।
গত ২১ সেপ্টেম্বর থেকে স্বর্ণের মতো হলমার্ক চিহ্নযুক্ত (কেডিএম) রুপা বিক্রি করার ঘোষণা দিয়েছে বাজুস।
প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট রুপা এক হাজার ৫১৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ২১ ক্যারেটের রুপার অলংকার বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৪৩৫ টাকায়। ১৮ ক্যারেটের ভরি বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ২২৫ টাকায়। আর সনাতন পদ্ধতির রুপার গহনা বিক্রি হচ্ছে ৯৩৩ টাকায়।