৮৩ রানে এগিয়ে থেকে তৃতীয় দিন শেষ করল বাংলাদেশ
দিনের প্রথম ওভারেই জোড়া আঘাত তাইজুলের। আগের দিনে বাংলাদেশি বোলারদের শাসন করা আবদুল্লাহ শফিককে দিনের পঞ্চম বলেই তুলে নিয়েছেন এই স্পিনার। পরের বলেই আউট হয়েছেন আজহার আলীও। দুজনই হয়েছেন এলবিডব্লু। দিনের শুরুটা দুর্দান্ত হলো বাংলাদেশের। ৫৮ ওভারে দুই উইকেটে পাকিস্তানের সংগ্রহ ১৪৬ রান।
বাবর-আবিদে থিতু হচ্ছে পাকিস্তান
সকালের জোড়া আঘাত সামলে আস্তে ধীরে আবারও ইনিংস মেরামতের কাজ শুরু করেছেন নতুন নামা বাবর আজম ও সেঞ্চুরির অপেক্ষায় থাকা আবিদ আলী। ৬৪ ওভার শেষে দুই উইকেটে ১৫০ রান তুলেছে পাকিস্তান। আর ৫ রান পেলেই ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি পেয়ে যাবেন আবিদ আলী। ওদিকে বাবর আছেন ৩ রানে অপরাজিত। তাইজুলের ওভারের প্রথম বল মিড উইকেটে ঠেলে দিয়ে দুই রান তুলে নিয়েছেন আবিদ আলী। আর তাতেই উঠে এসেছে তাঁর চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরি। ২০৯ বল খেলে সেঞ্চুরি পেলেন তিনি। চার মেরেছেন নয়টা, ছক্কা দুটি। ৬৮ ওভারে পাকিস্তানের স্কোর দুই উইকেটে ১৫৮।
১১: ০৫, নভেম্বর ২৮
মিরাজের বলে আউট বাবর
দুই বল আগেই চার মেরে হাত খোলার আভাস দিয়েছিলেন বাবর আজম। যা দিনে পাকিস্তানের প্রথম বাউন্ডারি ছিল। কিন্তু কীসের কী! উল্টো দুর্দান্তভাবে ফিরে এলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরাজের একটু দ্রুতগতির সোজাসুজি বলে পরাস্ত হলেন বাবর। বোল্ড হলেন। ৪৬ বল খেলে ১০ রান করেছেন বাবর। ওই প্রান্তে ২২৩ বলে ১০৭ রান করে অপরাজিত আছেন আবিদ আলী। মাঠে নেমেছেন ফাওয়াদ আলম। ৭৩ ওভারে ৩ উইকেটে ১৭০ রান পাকিস্তানের।
দিনের তৃতীয় শিকার তাইজুলের
শফিক, আজহারের পর এবার তাইজুলের শিকার হলেন ফাওয়াদ আলমও। তাইজুলের বলে রক্ষণাত্মকভাবে খেলতে গিয়ে ব্যাট-প্যাডে লেগে উইকেটের পেছনে লিটনকে ক্যাচ দিয়েছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। দিনের সকালে বাংলাদেশি স্পিনারদের সাফল্যই দেখা যাচ্ছে। ১৫ বলে ৮ রান করে আউট হয়েছেন ফাওয়াদ। ক্রিজে আছেন আবিদ আলী ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। চার উইকেটে ১৮২ রান পাকিস্তানের।
চার উইকেটের প্রত্যেকটি স্পিনারদের দেওয়ার পর বাংলাদেশি স্পিনারদের আরও বেশি সাবধানে খেলছে পাকিস্তান। ক্রিজে আছেন আবিদ আলী ১২২ রান নিয়ে, আর আছেন রিজওয়ান। ২৫ বলে ৩ রান করেছেন তিনি। ৮৬ ওভারে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৯৬ রান।
আবিদ-রিজওয়ান সওয়ার পাকিস্তান
আবিদ আলী আর মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাত ধরে ২০০ পার করল পাকিস্তান। তাইজুলকে পয়েন্টে কাট করে চার মেরে দলের রান ২০০ পার করিয়েছেন শতক হাঁকানো আবিদ আলী। ৮৮ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ২০৩ রান করেছে পাকিস্তান। এই ওভার শেষেই মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে গিয়েছে দুই দল। ২৬৯ বলে ১২৭ রান তুলেছেন আবিদ আলী। ওদিকে ৩১ বলে ৫ রান নিয়ে অপরাজিত মোহাম্মদ রিজওয়ান।
১২: ৫৯, নভেম্বর ২৮
বিরতির পর আবার আঘাত বাংলাদেশের
মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পর স্পিন সরিয়ে পেসারদের আক্রমণে এনেছিলেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। অধিনায়কের এই সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা প্রমাণ করলেন এবাদত হোসেন। মোহাম্মদ রিজওয়ানকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেছেন তিনি। ৩৮ বলে ৫ রান করে আউট হয়েছেন রিজওয়ান। ৯১ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ২০৮ রান তুলেছে পাকিস্তান। আবিদ আলীর সঙ্গী হিসেবে এবার ক্রিজে নেমেছেন ফাহিম আশরাফ।
তাইজুলের ঘূর্ণিতে বিবশ হলেন আবিদও
চার উইকেট হয়ে গেল আবিদ আলীর। শতক হাঁকানো আবিদ আলীকেও এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেললেন এই বাঁহাতি স্পিনার। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেনি পাকিস্তান। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হয়। ২৮২ বলে ১৩৩ রান করে ফিরলেন আবিদ। ১২টি চারের পাশাপাশি মেরেছেন দুটি ছক্কা। ক্রিজে নেমেছেন হাসান আলী। ৯৪ ওভারে ছয় উইকেটে ২১৮ রান তুলেছে পাকিস্তান। অপর প্রান্তে ১৪ বলে ৮ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন ফাহিম আশরাফ।
ঝড় তোলা হাসান আলীও পারলেন না তাইজুলের কাছে
লিড নেওয়া তো দূর, বাংলাদেশের স্কোরকে পাকিস্তান ধরতে পারবে কি না, সেটা নিয়েই এখন সংশয় দেখা গিয়েছে। সে সংশয় কমাতে মাঠে নেমেই হাত খুলে খেলা শুরু করেছিলেন পেসার হাসান আলী। তাইজুলকে একটা করে চার আর ছক্কা মেরেছিলেন, সব মিলিয়ে ৮ বলে করেছিলেন ১২। শেষমেশ স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলে সেই হাসান আলীকেও বিদায় করেছেন তাইজুল। এই নিয়ে ম্যাচে পাঁচ উইকেট পাওয়া হয়ে গেল তাঁর। ২২৯ রান তুলতে সাত উইকেট হারিয়েছে পাকিস্তান।
নিজের দ্বিতীয় উইকেট পেলেন এবাদত
অষ্টম উইকেটের পতন ঘটল পাকিস্তানের। এবাদতের বলে উইকেট ছত্রখান হলো ১২ বলে ৫ রান করা সাজিদ খানের। ৯৯ ওভার শেষে ৮ উইকেটে ২৪০ রান তুলেছে পাকিস্তান। বাংলাদেশের চেয়ে এখনও ৯০ রানে পিছিয়ে দলটা। উইকেটের অপর প্রান্তে ২৫ বলে ১৪ রান করে টিকে আছেন ফাহিম আশরাফ।
ছয় উইকেট তাইজুলের, বাংলাদেশের আর এক উইকেটের অপেক্ষা
পাকিস্তানের হয়ে শেষ জুটি ব্যাট করছে। আর এক উইকেট পড়লেই ব্যাটিংয়ে নামবেন মুমিনুলরা। এ পর্যায়ে যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের সমান রান করতে চাইছে পাকিস্তান। যদিও তাইজুলের ঘূর্ণিজাদুতে সে আশা পূরণ হবে কি না, সেটাও একটা কথা! ১০৭ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৭০ রান তুলেছে পাকিস্তান। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে করেছিল ৩৩০ রান। ক্রিজে আছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি ও ফাহিম আশরাফ। নোমান আলীকে আউট করেছেন তাইজুল, তুলে নিয়েছেন ইনিংসে নিজের ষষ্ঠ উইকেট।
একা লড়ে যাচ্ছেন ফাহিম আশরাফ
একপ্রান্ত আগলে রেখে লড়েই যাচ্ছেন ফাহিম আশরাফ। সঙ্গী হিসেবে পেয়েছেন শেষ ব্যাটসম্যান শাহীন শাহ আফ্রিদিকে। ১১৪ ওভারে ৯ উইকেটে ২৮০ রান তুলেছে পাকিস্তান। ৭৬ বলে ৩২ রান করে অপরাজিত ফাহিম, ওদিকে ২৬ বলে ১৩ রান করেছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি।
সেই তাইজুলই আউট করলেন শেষ ব্যাটসম্যানকে
ফাহিম আশরাফকে থামাতে সেই তাইজুলই এগিয়ে এলেন। নিজের সপ্তম শিকার বানালেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানকে। ২৮৬ রানেই থেমে গেল বাংলাদেশ, ৪৪ রানের লিড পেলেন মুমিনুলরা। ৪৪.৪ ওভার বল করে ১১৬ রান দিয়ে ৭ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। বেরিয়ে যাওয়া এক বলে সুইপ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন ফাহিম। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামছে বাংলাদেশ।
১৪ রানে প্রথম উইকেট হারাল বাংলাদেশ
সাদমানকে নিয়ে একটু খেললেন শাহিন আফ্রিদি। টানা দুটি বল অফ স্টাম্পের বাইরে করেছিলেন। একটি ভেতরে ঢুকেছিল। অন্যটি আউটসুইং করে বেরিয়ে গেছে। পরের বলটাই করলেন স্টাম্পে। এবং অ্যাঙ্গেল ধরে রেখে আরও ভেতরে ঢুকেছে। এর এতেই সাদমানের রক্ষণে ধস নেমেছে। এলবিডব্লু হয়ে ফিরেছেন সাদমান। বাংলাদেশের লিড ১ উইকেটে ৫৮ রান।
২ বল খেলেই ফিরলেন নাজমুল হোসেন
সাদমানকে ফেরাতে একটু পরিকল্পনা করতে হয়েছিল আফ্রিদিকে, নাজমুলের ক্ষেত্রে সেটাও দরকার হয়নি। টানা দুটি বল অফ স্তাম্পের বাইরে করেছেন। দ্বিতীয় বলটিতেই খোঁচা দেওয়ার লোভ সামলাতে পারেননি নাজমুল। প্রথম স্লিপে ধরা পড়েছেন।
একটুর জন্য বেঁচে গেলেন মুমিনুল
অসাধারণ এক ওভারের সমাপ্তি। ওভারের প্রথম ৫ বলে ২ উইকেট তুলে নেওয়া শাহিন শাহ আফ্রিদি ষষ্ঠ বলেও উইকেট পেতে পারতেন। আবারও অফ স্টাম্পের বাইরের বল। গতি ও বাউন্সে হার মেনেছিলেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। বল ব্যাটের স্পর্শ নিয়ে স্লিপের দিকে ছুটে গিয়েছিল। কিন্তু স্লিপের ফিল্ডারদের হতাশ করে একটু সামনে পড়েছে বল।
এবার বাঁচলেন সাইফ
এবার ব্যাটের কানায় বল লাগালেন সাইফ। তবে পয়েন্টের ফিল্ডার ঝাঁপিয়েও বল ধরতে পারেননি।
মুমিনুল বাঁচতে পারলেন না
আগের বলে সাইফের ক্যাচ ঝাঁপিয়েও ধরতে পারেননি ফিল্ডার। পরের বলটাও মুমিনুলকে কাঁপিয়ে দিল। হাসান আলীর বলটা ঠিকভাবে খেলতে পারেননি মুমিনুল। তাঁর ব্যাটের স্পর্শ নিয়ে বল চলে গিয়েছিল মিডউইকেটে। এবার আজহার আলী ঠিকঠাক ডাইভ দিয়েছেন। সময়মতো বল হাতে তুলে নিয়েছেন। ২ বলে দুবার ক্যাচ তুলে শূন্য রানে ফিরলেন মুমিনুল হক। বাংলাদেশের স্কোর ১৫/৩। ৫৯ রানে এগিয়ে বাংলাদেশ।
নতুন রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ
১৫ রানে প্রথম ৩ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে এর আগে ২০ রানের নিচে কখনো ৩ উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ।
মুমিনুল যেখানে চতুর্থ
বাংলাদেশের চতুর্থ অধিনায়ক হিসেবে টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে শূন্য রানে আউট হলেন মুমিনুল হক। এর আগে খালেদ মাসুদ, খালেদ মাহমুদ ও মুশফিকুর রহিমের এই রেকর্ড ছিল। এর মধ্যে মুশফিক আউট হয়েছেন দুইবার। ২০১৫ সালে ঘরের মাঠে দুই টেস্টের সিরিজে দুইবার ০ রানে আউট হয়েছিলেন মুশফিক।
চট্টগ্রাম এভাবে হতাশ করেনি মুমিনুলকে
দুই ইনিংস মিলিয়ে মাত্র ৬ রান করেছেন মুমিনুল। এই ভেন্যুতে দুই ইনিংস মিলিয়ে মুমিনুলের আগের সর্বনিম্ন সংগ্রহ ছিল ২৭ রান। ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সে ম্যাচেও এক ইনিংসে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন মুমিনুল। চট্টগ্রামে সেবারই প্রথম কোনো ইনিংসে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন মুমিনুল।
আবারও অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন সাইফ
আফ্রিদির বলে একটুর জন্য বেঁচে গেলেন সাইফ।
তামিমকে টপকে গেলেন মুশফিক
আজ ২ রান করেই তামিমকে টপকে গেলেন মুশফিক। ৪,৭৮৭ রান নিয়ে নামা মুশফিক টেস্ট রানে টপকে গেছেন তামিমকে (৪,৭৮৮ রান)।
চার
৩৯ বল পর চারের দেখা পেল বাংলাদেশ। হাসান আলীকে চার মেরে একটু স্বস্তি দিলেন মুশফিক।
১০ ওভার শেষে বাংলাদেশ ২৫/৩
৩ উইকেটে ২৫ রান বাংলাদেশের। ৬৯ রানে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।
বিরতির পর প্রথম বলেই উইকেট হারাল বাংলাদেশ
প্রথম ইনিংসে বাউন্সার সামলাতে না পেরে আউট হয়েছিলেন সাইফ। দ্বিতীয় ইনিংসেও সেই শাহিন আফ্রিদির বাউন্সারেই আউট হলেন সাইফ। ১৮ রান করেছেন সাইফ। বাংলাদেশ ২৫/৪।
আরেক রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ
তৃতীয় উইকেট হারানোর সময় একটি রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। চতুর্থ উইকেট হারানোর সময়ও হলো রেকর্ড। ২৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে এর আগে এত কম রানে ৪ উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ।
এক ইনিংসেই পদোন্নতি ইয়াসিরের
প্রথম ইনিংসে সাতে নেমেছিলেন ইয়াসির। দ্বিতীয় ইনিংসেই ছয়ে নামলেন ইয়াসির। তবে এর পেছনে লিটন দাসের ক্লান্তি ভূমিকা রেখেছে। ১১৫ ওভার উইকেটকিপিং করায় মাত্র ১১তম ওভারেই লিটনকে ব্যাটিংয়ে নামায়নি দল।
চার দিয়ে রানের খাতা খুললেন ইয়াসির
ফাহিম আশরাফ পায়ের ওপর বল করতেই স্কয়ার লেগ দিয়ে চার মারলেন ইয়াসির। ১৩ তম বলে এসে রান পেলেন ইয়াসির।