প্রতিমন্ত্রী দাদার ক্ষমতাবলয়ে মায়ের স্নেহ বঞ্চিত শিশু
এক প্রতিমন্ত্রীর ছেলের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে দেড় বছরের শিশু সন্তান না দেখানোর অভিযোগে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন শিশুটির মা।
অবশেষে সন্তানের দেখা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন শিশুটির মা তাসনুভা। এ ঘটনাকে মানবাধিকারের লঙ্ঘন বলছেন আইজীবী খুরশীদ আলম খান।
২০১৫ সালে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন তাসনুভা ও সৈকত। একজনের বাবা ব্যবসায়ী, অন্যজনের বাবা তখন ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের সচিব। পরের বছর এ দম্পতির ঘর আলো করে আসে কন্যা আনাহিতা। এরপর থেকেই সমস্যার শুরু। স্কলারশিপ নিয়ে তাসনুভা মালয়েশিয়া গেলে সেখানেও নির্যাতন চালান তার স্বামী। এমন বাস্তবতায় ২০২০ সালে দেশে ফিরে আসেন তাসনুভা।
এরপর আর সন্তানকে ফিরে পাননি তিনি। আইন বলছে, ৭ বছর পর্যন্ত সন্তান থাকবে মায়ের কাছে। তারপরও শ্বশুর পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম নাতনির জীবন থেকে পুত্রবধূকে সরে যেতে বলেন।
করোনার দোহাই দিয়ে তাসনুভাকে সন্তান দেয়নি ঢাকার একটি আদালত। তবে এই করোনায় শুধু মায়ের কাছে যাওয়া ছাড়া আর সবখানেই নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৫ বছরের আনাহিতাকে।
২১ অক্টোবর সন্তান ফেরত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন তাসনুভা। সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী এমন ঘটনাকে মানবাধিকার লঙ্ঘন বলছেন।